মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, চকরিয়া প্রতিনিধি: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ও কোনাখালী ইউনিয়নের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে লাল ব্রিজ নামে একটি লোহার সেতু। সে লোহার সেতুটি আজ(৮ সেপ্টেম্বর) আছরের নামাজের পর লোক জন যাতায়াতের সময় মাঝখানে ভেঙে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায় ফলে ১০ থেকে ১২ জন পথচারী পানি পড়ে গেয়ে আহত হয়।
ঢেমুশিয়া ও কোনাখালী ইউনিয়নের ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার লোক এই সেতু দিয়ে পারাপার করে।কিন্তু সেতুটি ভেঙে যাওয়াতে বিশাল একটি জনগোষ্ঠীর যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে।
এ সেতুটি নির্মাণ হয়েছে প্রায় ৩০ বছর আগে।সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে লোহা ও গাছের তক্তা দিয়ে।সেতুটি বয়স বেশি হওয়াতে লোহাগুলো মরিচা ধরে যায় ও গাছের তক্তাগুলো পচে যায়।ফলে মাঝে মাঝে স্থানীয়রা গাছ-বাঁশ দিয়ে সেতুটি মেরামত করে কোন রকম চলাচলের ব্যবস্থা করে।
এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা চলাচল করে।কিন্তু আজ(শুক্রবার) সেই সেতুটির মাঝ খানে ভেঙে গেল। ফলে শিক্ষার্থীসহ সবার যোগাযোগ বন্ধ হয়। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হলে এ সেতুটি লক্কড় ঝক্কর হওয়াতে রোগীকে হাসপাতালে নিতে অনেক কষ্ট হয়।
ঢেমুশিয়া মুছার পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা রিদুয়ানুল হোছাইন হিরু বলেন,এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারী চলাচল করে,কিন্তু আজ তালিজোড়া দেওয়া সেতুটি ভেঙে যায়।ফলে ৩০ /৪০ হাজার লোকজন কিভাবে যাতায়াত করবে?
তিনি আরো বলেন, কোনাখালী ইউনিয়নে আমি জমি চাষাবাদ করি।এই সেতু দিয়ে আমি জমি চাষাবাদের সামগ্রী গুলো নিয়ে থাকি।কিন্তু সে সেতু ভেঙে যায়।এখন আমাদের কি উপায় হয় জানি না।
কোনাখালী দারুল ইরফান মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ নুরুল কাদের বলেন,এই সেতু দিয়ে আমার মাদ্রাসার ৩০০/৪০০ জন শিক্ষার্থী চলাচল করে।সেতুটি ভেঙে যাওয়াতে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা কিভাবে যাতায়াত করবে বুজতেছি না।হয়তো এখন নৌকা ছাড়া চলাচলের উপায় নাই।
স্থানীয়দের একটা দাবী হচ্ছে এ সেতুটি মেরামত করে পথচারীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে আর একটা নতুন সেতু নির্মাণ করা।
স্থানীয়রা আরো বলেন,জনপ্রতিনিধিদের চোখে পড়ে না।নির্বাচন আসে আর যায় কিন্তু নির্বাচনে প্রার্থীরা জয়ে হয়ে এ সেতুর উপর নজর দেয় না।তাই তাদের একটা দাবী হচ্ছে একটা নতুন সেতু নির্মাণ করা।